Saturday, February 3, 2018

যারা মহাবিশ্ব সর্ম্পকে জানতে ভালোবাসেন তাদের জন্য Our Earth & Space Part-2এতে সহজ ও সাবলিল ভাষায় মহাবিশ্ব সর্ম্পকে জানতে পারবেন। তাহলে শুরু করা যাক...
গত দিন আমরা মহাবিশ্বের মহাবিষ্ফোরন বা Big Bang সর্ম্পকে জানতে পেরেছি, আজ আমরা ছায়াপথ বা Galaxi  সর্ম্পকে জানবো......

ছায়াপথ বা Galaxi :
এনজিসি ৪৪১৪কোমা বারেনিসিসের মণ্ডল-এ অবস্থিত একটি কুণ্ডলাকার ছায়াপথ। এর ব্যাস প্রায় ১৭,০০০ পারসেক

প্রথমেই বলবো বিজ্ঞানীদের জ্ঞান ছায়াপথ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। কারণ তারা Universe  সর্ম্পকে ভালো ভাবে ধারনা দিতে পারে নাই। আমাদের ছায়াপথ বা Galaxi  এর নাম আকাশগঙ্গা বা (Milkyway) ছায়াপথ মহাকর্ষীয় শক্তি দ্বারা আবদ্ধ একটি অতি বৃহৎ সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা যা তারাআন্তঃনাক্ষত্রিক গ্যাস ও ধূলিকণানক্ষত্রের অংশ এবং প্রচুর পরিমাণে অদৃশ্য বস্তু দ্বারা গঠিত। একটি আদর্শ ছায়াপথে ১০ মিলিয়ন থেকে এক ট্রিলিয়ন পর্যন্ত তারা থাকে, যারা সবাই একটি সাধারণ মহাকর্ষীয় কেন্দ্রের চারদিকে ঘূর্ণায়মান। বিচ্ছিন্ন তারা ছাড়াও ছায়াপথে বহুতারা ব্যবস্থাতারা স্তবক এবং বিভিন্ন ধরনের নীহারিকা থাকে। অধিকাংশ ছায়াপথের ব্যস কয়েকশ আলোকবর্ষ থেকে শুরু করে কয়েক হাজার আলোকবর্ষ পর্যন্ত এবং ছায়াপথসমূহের মধ্যবর্তী দূরত্ব মিলিয়ন আলোকবর্ষের পর্যায়ে।
ছায়াপথের শতকরা ৯০ ভাগ ভরের জন্য দায়ী করা হয় অদৃশ্য বস্তুকে যদিও এদের অস্তিত্ব এবং গঠন সম্পর্কে অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। ছায়াপথের অভ্যন্তরে অতিবৃহৎ কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আন্তঃছায়াপথীয় স্থান হালকা প্লাসমা দ্বারা পূর্ণ। প্লাজমা পদার্থের তথাকথিত চতুর্থ অবস্থা(কঠিন, তরল ও বায়বীয় এর পর)। প্লাজমা হচ্ছে আয়নিত গ্যাস যেখানে মুক্ত ইলেকট্রন  এবং ধনাত্মক আয়ন এর সংখ্যা প্রায় সমান। আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানেগ্যাস ক্ষরণ টিউব-নক্ষত্র'র (এমনকি সূর্যের) বাতাবরণে এবং পরীক্ষামূলক তাপ-নিউক্লীয় বিক্রিয়ক(Thermonuclear reactor) -এ প্লাজমা দেখতে পাওয়া যায়। বৈদ্যুতিকভাবে প্রশম থাকা সত্ত্বেও প্লাজমা সহজেই বিদ্যুৎ পরিবহন
করে। এদের থাকে অত্যুচ্চ তাপমাত্রা
প্লাজমা বাতি, যা দ্বারা প্লাজমার বৈশিষ্ট্য ফিলামেন্টেশন প্রদর্শিত হচ্ছে
আমাদের পর্যবেক্ষণিক সীমার মধ্যে একশ বিলিয়নেরও বেশি ছায়াপথ রয়েছে।
ছায়াপথ নামকরণ
          ছায়াপথ শব্দটি ইংরেজি Galaxy শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে বাংলায় ব্যবহৃত হয়। Galaxy শব্দটি গ্রিক γαλαξίας (গালাক্সিয়াস) শব্দ থেকে উদ্ভূত। আমাদের সৌরজগত যে ছায়াপথে অবস্থিত তার গ্রিক নাম দেয়া হয়েছিল γαλαξίας যার অর্থ kyklos galaktikos বা "দুধালো বৃত্তপথ" (Milky circle)পরবর্তীকালে এই নামটিকেই ছায়াপথের সাধারণ নাম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন যে এর নামকরণ ভুল হয়েছে কারণ প্রকৃত মহাবিশ্ব এর অন্তর্ভুক্ত সকল বস্তুরই সামষ্টিক নাম। তাই এর পর থেকে এধরনের তারার সমষ্টিকে সাধারণভাবে গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ নামে অভিহিত করা হতে থাকে।

মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, একটি ছায়াপথ কী কী উপাদান দ্বারা গঠিত? তাই না। আমি সেই সব বস্তু গুলোর শুধু নাম দিচ্ছি, পরে ধাপে ধাপে এগুলোর বিস্তারিত বর্ননা দিবো....

০১. ছায়াপথের দানব বা ব্লাক হোল (Black Hole)
০২. প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন সৌরজগত
০৩. বিভিন্ন পদার্থের ধুলিকণা
০৪. বিভিন্ন রকমের গ্যাস
০৫. নক্ষত্র
০৬. নীহারিকা
০৭. ধুমকেতু

এছাড়াও অনেক বস্তু আছে বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করছে। আগামীতে ধাপে ধাপে এগুলোর বিস্তারিত বর্ননা দিবো আশা করি সঙ্গে থাকবেন। 

বুঝতে সমস্যা হলে ভিডিওটি দেখুন, এখানে ক্লিক করুন..

No comments:

Post a Comment

thanks